আলোচিত শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার
![]() |
ছবিঃ সংগৃহীত |
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এক ভাড়া বাসাতে তার মরদেহটি পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ
আলোচিত নাটোরের গুরুদাসপুরে মো. মামুন হোসেন (২২) নামে এক ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এক ভাড়া বাসাতে তার মরদেহটি পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ।
গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
গণমাধ্যম ফেসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্নমাধ্যমে গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
ওসি নাসিম আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন বিয়ে করেন। খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
গণমাধ্যমে জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিন্ধান্ত নেন।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে এখনও বিয়ে মেনে নেননি। শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তান রয়েছে।
আরো পড়ুুনঃ ‘হাওয়া’ সিনেমা মানুষকে হাওয়ায় মাতিয়ে তুলেছে
0 Comments