৪ দফা দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
![]() |
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল | ছবিঃ সংগৃহীত |
- ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপার চুরির দায়ে অভিযুক্ত কুয়েত-মৈত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট শবনম জাহানকে চাকুরিতে পুর্ণবহাল করা চলবে না।
- কলেজ ছাত্রীকে হেনস্তাকারী, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন এ কে এম মাহবুব হাসানকে অপসারণ কর ।
- সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
- সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত কর।
৪ আগস্ট দুপুর ১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অপরাজেয় বাংলা, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো: ফয়েজ উল্লাহ্, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক কাজী রকিব হোসেন।
দাবিগুলো হলোঃ
- ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপার চুরির দায়ে অভিযুক্ত কুয়েত-মৈত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট শবনম জাহানকে চাকুরিতে পুর্ণবহাল করা চলবে না।
- কলেজ ছাত্রীকে হেনস্তাকারী, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এ কে এম মাহবুব হাসানকে অপসারণ কর ।
- সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
- সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত কর।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিকে দেশে যেমন চলছে ভোট ডাকাতির সরকারের শাসন, সেভাবেই একটি ভোট ডাকাতির ডাকসু নির্বাচন করতে গিয়ে সিল মারা ব্যালট নিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেয়েছেন এবং বরখাস্ত হয়েছেন। অথচ এরকম ঘৃণিত একজন ব্যক্তিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট পুনঃনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অপরাধীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার মানসিকতাই প্রকাশ পায়। অপরদিকে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন একজন কলেজছাত্রীকে যেভাবে হেনস্তা করেছেন, তা মোটেই শিক্ষক সুলভ আচরণ নয়। আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সকলের জন্য হয়ে উঠেছে অনিরাপদ। আমরা নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণ ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
Read More: হত্যাকাণ্ডের ৩০ বছরেও বিচার হয়নি
0 Comments