Ad Code

Latest

6/recent/ticker-posts

বিমান ওড়ে কেন?

বিমান আবিষ্কার ও আকাশে ওড়া

Invention of airplanes and flying in the sky:

ছবিঃ সংগৃহীত

ছোটবেলায় তাঁদের বাবা একটি খেলনার হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিলেন। এটি থেকেই দু’ভাইয়ের মনে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন শুরু হয়। ১৮৯৯ সালে তাঁদের প্রথম বিমান তৈরি করেন...

ইঞ্জিনের ভেতরে থাকা বিশালকার ফ্যান বাইরের বাতাস ভেতরের দিকে টানে। দহনের অংশে বাতাস প্রবেশের আগেই কিছু বাতাস উচ্চচাপের সৃষ্টি করে। সেখানে ফুয়েলের সঙ্গে মিলে উত্তপ্ত গ্যাস তৈরি হয়, যা ইঞ্জিনকে আরও বেগবান করে। ফলে বিমান আরও সামনের দিকে এগিয়ে যায়
আকাশে পাখি উড়তে দেখলে তোমাদের সবারই ইচ্ছে হয় পাখির মতো আকাশে ভেসে থাকার। একার নয়, পুরো মানবজাতিরই এমন ইচ্ছে হওয়াটা স্বাভাবিক। আর এই ইচ্ছে থেকেই মানুষ তার আদিকাল থেকে লালিত স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের মধ্যে অধিকাংশই হয়তো জানে না বিমান কি করে এলো, আর কেমন করেই বা বিমান বাতাসে ভেসে থাকে!

বিমান সর্বপ্রথম আবিস্কার করেন উইলবার রাইট ও তাঁর ভাই অরভিল রাইট। ছোটবেলায় তাঁদের বাবা একটি খেলনার হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিলেন। এটি থেকেই দু’ভাইয়ের মনে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন শুরু হয়। ১৮৯৯ সালে তাঁদের প্রথম বিমান তৈরি করেন। 

ছবিঃ সংগৃহীত


নতুন কিছু সৃষ্টি করতে গিয়ে অনেক প্রতিকুলতা ওভারকাম করতে হয়। আকাশে ভাসার স্বপ্নকে বাস্তবে আনতে নানা প্রতিবন্ধকতা পেরোতে হয়েছে মানুষকে। তবু ওড়ার পেছনের বিজ্ঞান সফল হয়েছে আর মানুষ বাতাসে ভেসে থাকার অ্যারোডায়নামিক্সকে কাজে লাগিয়ে বিমানে সবশেষে চড়েই বসেছে । 

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক পৃথিবীর অভিকর্ষ বলকে উপেক্ষা করে হাওয়ায় ভেসে থাকার পেছনের বিজ্ঞান।

প্রথম হাওয়ার বুকে ভেসেছিল রাইট ব্রাদার্সের বিমান মাত্র এক শ বছর আগে । বর্তমানে প্রতিদিন সারা বিশ্বে এক লাখেরও বেশি বিমান ওড়ে আকাশে। এখনকার সবচেয়ে ভারবাহী বিমান সর্বোচ্চ ৬১৯ টন পর্যন্ত মালামাল নিয়ে আকাশে উড়তে পারে। 

পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে উপেক্ষা করে হাওয়ায় ভেসে থাকতে এই বিমানগুলোকে প্রচুর ঊর্ধ্বমুখী চাপ তৈরি করতে হয়। শক্তিশালী ইঞ্জিন আর অ্যারোডায়নামিকসের সবকিছু ঠিক থাকলে এক দেশ থেকে আরেক দেশের সীমানায় পৌঁছে যায় এই দানবীয় বিমানগুলো।

ইঞ্জিনের ভেতরে থাকা বিশালকার ফ্যান বাইরের বাতাস ভেতরের দিকে টানে। দহনের অংশে বাতাস প্রবেশের আগেই কিছু বাতাস উচ্চচাপের সৃষ্টি করে। সেখানে ফুয়েলের সঙ্গে মিলে উত্তপ্ত গ্যাস তৈরি হয়, যা ইঞ্জিনকে আরও বেগবান করে। ফলে বিমান আরও সামনের দিকে এগিয়ে যায়। 

ছবিঃ সংগৃহীত

উল্লেখ্য কম গতিতে ইঞ্জিনের বাইরের দিকেও কিছু বাতাসের প্রবাহ হয়। গতি কম হলেও ইঞ্জিন পরিচালনায় এই বাতাসেরও ভূমিকা আছে। আর এভাবেই বিমান ওড়ে। 

Post a Comment

0 Comments